দক্ষিন এশিয়ার অতি জনপ্রিয় খিচুড়ির বাঙালি সংস্করণ— মুগ ডাল এবং গোবিন্দভোগ চাল দিয়ে তৈরি সুস্বাদু খিচুড়ি
উৎসবের দিন হোক বা রোজকার খাবার— খিচুড়ি খুব সহজেই এইসব বিভাগ-বিভাজন পেরিয়ে যেতে পারে। খিচুড়িকে দক্ষিন এশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন সংস্কৃতির একটা যোগসূত্র হিসেবেও দেখা যায়। চালেডালে মিশিয়ে সামান্য কিছু মশলা দিয়ে সাঁতলে নিলেই খিচুড়ি তৈরি, তবে কোন মশলা দেওয়া হবে সেটা যদিও এক এক জায়গায় এক এক রকম। মজার বিষয় হল খিচুড়ি একদম সাধারণ হবে নাকি রাজকীয় মহাভোজের মত হবে সেটা রাঁধুনি এবং খাদকের ইচ্ছের উপর নির্ভরশীল। চাইলে খুব তরিজুত করেও বানানো যায় আবার খুব সাদামাটা ভাবেও বানানো যায়। অসুস্থ শরীরকে সুস্থ করার জন্য পাতলা কম মশলা দেওয়া খিচুড়ি, বর্ষার দিনে ধোঁয়া ওঠা গরম খিচুড়ি, আবার পুজোর দিনে ঠাকুরকে দেওয়ার জন্য ঘন ঘিয়ের গন্ধে ময়ময় করা খিচুড়ি— মা দুর্গার মত আমাদের খিচুড়িও বহুরুপে হাজির হন ভক্তদের কাছে।
আমরা এখানে যে খিচুড়ির কথা লিখছি, সেটা ভোগ এবং বর্ষার দিন, এই দুই উপলক্ষ্যের জন্যই উপযোগী। আমরা খিচুড়ি বানানোর জন্য সোনামুগ ডাল আর গোবিন্দভোগ চাল ব্যবহার করেছি, আশা রাখি এই দুইয়ের গন্ধের সাথে ঘিয়ের গন্ধ মিশে এক অনাবিল আনন্দে আপনাদের রান্নাঘর ভরে উঠবে।